এনবি নিউজ : করোনাভাইরাসের টিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রয়োজনে যত টাকা লাগে এবং যত পরিমাণ ভ্যাকসিনের দরকার হয় আমরা কিনব। যেখানেই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে আমরা সেখান থেকেই কিনব। ভবিষ্যতে আমরা ভ্যাকসিন বাংলাদেশে তৈরি করব। যাতে মানুষের কোনো অসুবিধা না হয়। সেজন্য আমরা সব ধরনের উদ্যোগ নেব।’
আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন।
জনপ্রশাসন দিবস উপলক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মাঠপ্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পদক ও সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সম্মাননা তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী চলমান বৈশ্বিক মহামারির সময় তাঁর সরকারের উন্নয়মূলক কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরেন। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বৈরি পরিবেশে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মের কথাও উল্লেখ করেন।
জনপ্রশাসনের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওপর আগেও অনেক ঝড়ঝাপটা এসেছে, আগামী দিনেও আসবে। এগুলো মোকাবিলা করেই আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা এখন যে কাজ করছেন, আগামী দিনের প্রজন্ম তার সুফল ভোগ করবে। এটি চিন্তা করেই তাদের কাজে মনযোগী হতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠন করেছি। এ সময়ে আমাদের অনেকগুলো বাধা মোকাবিলা করতে হয়েছে। এর মধ্যে চলে এসেছে করোনা। এই করনোর হাত থেকেও আমরা মুক্তি পাবো, ইনশাআল্লাহ।
করোনার টিকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন আনছি। এরই মধ্যে জনগণকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। ব্যাপকভাবে জনগণকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে হবে। সবাই যাতে সুরক্ষিত থাকে। পরিবারের সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে আমি নির্দেশ দিয়েছি। বাসাবাড়িতে যারা কাজ করেন এমনকি গাড়ির চালকদেরও ভ্যাকসিন দিতে বলেছি। যতটা লাগে এবং যত পরিমাণ ভ্যাকসিনের দরকার হয়, আমরা কিনব। ভবিষ্যতে আমরা ভ্যাকসিন বাংলাদেশে তৈরি করব। যাতে মানুষের কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য আমরা সব ধরনের উদ্যোগ নেব।’
মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা মাঠপ্রশাসনে যারা কাজ করেন তাঁদের তৃণমূলের মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়। আপনারা মানুষের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো ভালোভাবে দেখতে পারেন। দেশের উন্নয়ন যাতে সঠিকভাবে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।