এনবি নিউজ : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে আওয়ামী সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে মাঠে নেমেছে। স্বৈরাচারী সরকার বিএনপির নেতাকর্মী এবং প্রতিবাদী জনগণের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে দেশব্যাপী ভয় ছড়িয়ে দিচ্ছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস না করে।’ আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে এবং ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতে নির্বাচনের পর সরকারের দুঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘জনসমর্থনহীন সরকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকেও চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। স্বৈরাচারী সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশের মানুষ আজ বাকরুদ্ধ। অশুভ আশঙ্কা, আতঙ্ক ও ভয়ের এক দুর্বিষহ পরিবেশ জনজীবনকে সারাক্ষণ উদ্বিগ্ন করে রেখেছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার আদালত থেকে জামিন লাভ সত্ত্বেও তাঁকে বিভিন্ন কায়দায় জেল থেকে মুক্তি বিলম্বিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও বিগত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার তরুণ নেতৃত্বকে ধ্বংস করার নিরবচ্ছিন্ন অংশ।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘মহামারিকালেও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম দমন-নিপীড়ন চালিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। বহু ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিতে বাকশালি শাসন কায়েম করতে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্দয় আচরণের পাশাপাশি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের, জামিন লাভের পর মুক্তি পেতে বাধা ইত্যাদি ঘৃণ্য নজির স্থাপন করেছে আওয়ামী সরকার।’