এনবি নিউজ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলাকারী ও প্ররোচণাকারীদের শাস্তি হবে। হামলার ঘটনার এখন তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে কার ভূমিকা কী ছিল। হামলাকারীরা যেই হোক, শাস্তি পাবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বরিশালের ঘটনা যে পর্যায়ে গিয়েছিল, এতে করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। বর্তমানে বরিশাল শহরে উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থা নেই। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, ঘটনায় কারও প্ররোচণা ছিল কি না, তা মামলার তদন্ত শেষে বলা যাবে।’
এ সময় অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আড়িপাতার যন্ত্র বিক্রির জন্য ইসরায়েল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কেটিং করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কখনোই ইসরায়েলের বাণিজ্যিক চুক্তি ছিল না এবং এখনো নেই। ফলে এসব যন্ত্র কেনার প্রশ্নই আসে না। ইসরায়েল থেকে বাংলাদেশ ওইসব যন্ত্র কখনোই আমদানি করেনি, ভবিষ্যতেও কোনো যন্ত্রই কেনা হবে না।’
গত বুধবার রাতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ব্যানার অপসারণে মাঠে নামে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। পরে তারা সদর উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে গেলে ইউএনওর বাসভবনে সামনে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। পরিস্থিতি খারাপ হলে গুলি ছোড়েন নিরাপত্তারক্ষী আনসার সদস্যরা।
এই ঘটনায় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ অর্ধশত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আহত হন।
এ ঘটনায় আজ বিকেলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।
এদিকে এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুটি মামলায় হয় বলে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা সূত্রে জানা যায়। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল ইসলাম জানান, দুটি মামলার মধ্যে একটির বাদী বরিশাল সদরের ইউএনও মুনিবুর রহমান এবং অপর মামলার বাদী পুলিশ।
এর মধ্যে ইউএনওর করা মামলায় তাঁর বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর পুলিশের করা মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর আক্রমণ ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওসি নুরুল ইসলাম আরও জানান, দুটি মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকশ জনকে আসামি করা হয়েছে। উভয় মামলারই প্রধান আসামি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।