তার ভাষ্য মতে, বেসরকারি হাসপাতালগুলো এই টিকা সরকারের কাছ থেকে কিনে নেবে। পরে তারা টিকা গ্রহীতাদের কাছে তা বিক্রি করবে।
তবে সরকারিভাবে যে টিকা বিনামূল্যে পাচ্ছে জনগণ, সেই টিকা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিতে গেলে কত টাকা খরচ করতে হবে- সেই সিদ্ধান্ত এখনও জানা যায়নি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে কি না তার পরীক্ষার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে যেখানে ১০০-৩০০ টাকা দিতে হয়, সেখানে বেসরকারি হাসপাতালে লাগে সাড়ে তিন হাজার টাকা।
এখন করোনাভাইরাসের কিছু টিকাও সেভাবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো সরকারের কাছ থেকে টিকা কিনে নেবে।“এ বিষয়টি আমরা প্রসেস করছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়েছি। তাদের আমরা বেশি দেব না। ওরা চাচ্ছে তাই অল্প ভ্যাকসিন দেব। তাতে আমাদেরও লোড কম হবে। কিছু লোক বেসরকারি হাসপাতালে যাবেন।”
জাহিদ মালেক বলেন, এসব টিকা শুধু ‘ভালো মানের’ হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজগুলোকে দেওয়া হবে।
“সেগুলো আমরা অনুমোদন করে দেব। তারা শুধু ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে। ভালো প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ বলেন আর ভালো হাসপাতাল বলেন, তারাই শুধু এই ভ্যাকসিন পাবে।”
বুধবার এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ মুবিন খান করোনাভা্ইরাসের টিকাদান কার্যক্রমে বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার দাবি জানান। বেসরকারি হাসপাতালে বিক্রির জন্য প্রাথমিকভাবে সরকারের কাছে ১০ লাখ ডোজ টিকা চান তিনি।
এ সময় মুবিন খান বলেন, “করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা, চিকিৎসা সেবা দেওয়া- সব ক্ষেত্রেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেবা দিচ্ছে। কিন্তু টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন সম্পৃক্ত করা হচ্ছে না?”
তাদের ওই পরিমাণ টিকা দেওয়া হবে কি না- সেই প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের তো কোটি কোটি ভ্যাকসিন দিতে হবে। এক্ষেত্রে ১০ লাখ তো কিছুই না।”
বেসরকারি হাসপাতালে টিকা নিতে হলে তার খরচ কত হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেটা এখনও ঠিক হয়নি, ঠিক হলে পরে জেনে যাবেন।”
টিকা দেওয়ার জন্য বেসরকারি হাসপাতালের অনুমোদন এবং মূল্য সরকারই নির্ধারণ করে দেবে বলে জানান তিনি।
আত/১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১